১. শব্দগুলো পাঠ থেকে খুঁজে বের করি। অর্থ বলি।
খুশবু উদগ্রীব বিবিসি গণহত্যা বঙ্গবন্ধু ট্রেনিং গপগপিয়ে মুক্তিবাহিনী মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প মিলিটারি
২. ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি করি।
বঙ্গবন্ধুর মিলিটারির গণহত্যা উদগ্রীব বিবিসির মুক্তিযোদ্ধারা
ক. রুবা……………………..হয়ে বলে, মা আমার গল্পটা বল ।
খ. সবাই আমগাছের নিচে বসে রেডিওতে…………………….খবর শুনছে ।
গ. ঢাকা শহরে গত মধ্যরাতে………………….শুরু করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ৷
ঘ. জসীমের মনে পড়ে কিছুদিন আগে ওরা………………….৭ই মার্চের ভাষণ শুনছিল।
ঙ. বিকেলে বাজারে গেলে পাকিস্তানি…………………..সামনে পড়ে যায় জসীম ।
চ. রাতে………………………. এলে তার জন্য ভাত রান্না করবে।
৩. প্রশ্নগুলোর উত্তর মুখে বলি ও লিখি।
ক. রুমার জন্মদিনের গল্পটি কী?
খ. রুবার জন্মদিনের গল্পটি কী ?
গ. রাহেলা বানু প্রতিদিন দুই মুঠো চাল উঠিয়ে রেখে দিত কেন ?
ঘ. গভীর রাত পর্যন্ত দুই বোন কেন জেগে থাকত ?
ঙ. মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে জসীম মিয়ার পরিবারের সম্পর্কটি ব্যাখ্যা কর ।
চ. “আমার মেয়েগুলোর অনেক বুদ্ধি। অনেক বড় হ মা।”- “অনেক বুদ্ধি” এবং “বড় হ”
বলতে তুমি কী বোঝ ?
ছ. একজন মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধ করার জন্য কী কী যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা দরকার?
৪. ঠিক উত্তরটিতে টিক (√) চিহ্ন দিই।
ক. ফুলের পাপড়ি ছিঁড়ে দুই বোন কোথায় রাখতো ?
১. বইয়ের ভিতর ২. বালিশের নিচে
৩. কৌটার ভিতর ৪. খাতার ভিতর
খ. আমগাছের নিচে বসে জসীম কিসের খবর শুনছিল?
১. বাজারের খবর ২. যুদ্ধের খবর
৩. গণহত্যার খবর ৪. বাড়ির খবর
গ. রুবা রুমার হাত ধরে ঝাঁকিয়ে বলে, যুদ্ধ মানে কী বুবু? রুমা দুই হাতে চোখ মুছে বলে-
১. বাবার মরে যাওয়া ২. মায়ের মরে যাওয়া
৩. ভাই বোনের মরে যাওয়া ৪. স্বামী মরে যাওয়া
ঘ. কখন শিউলি ফুল ফোটে?
১. আশ্বিন মাসে ২. কার্তিক মাসে
৩. দিনের বেলা ৪. মাঘ মাসে
৫. শব্দগুলোকে বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ অনুযায়ী সাজাই
এমন কিছু শব্দ আছে যা দিয়ে কারোর নাম, জায়গার নাম বোঝায় সেগুলো বিশেষ্য। যেমন- নদী শুকিয়ে গেছে। এখানে ‘নদী' বিশেষ্য পদ। আবার এমন শব্দ আছে যা দিয়ে বিশেষ্য শব্দের দোষ, গুণ, অবস্থা, পরিমাণ, সংখ্যা বোঝায় সেগুলো বিশেষণ পদ। যেমন- মুনা দৌড়ে দ্রুত পালিয়ে গেল। এখানে ‘দ্রুত’ বিশেষণ পদ। এবার নিচের শব্দগুলো থেকে বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ আলাদা করি ৷
গাছ, ভাত, শুকনো, ভীষণ, নদী, ঝাঁপা, দরজা, রাইফেল, গরম, গভীর, হাঁড়ি, দ্রুত।
বিশেষ্য বিশেষণ
নদী গরম
………… ……………
……….. …………..
……….. …………..
……….. …………..
……….. …………..
……….. …………..
৬. বিপরীত শব্দ লিখি এবং তা দিয়ে একটি করে বাক্য লিখি।
জন্ম মৃত্যু যুদ্ধের সময় দেশের অনেক লোকের মৃত্যু হয়েছিল।
কান্না ……… ………………………………………………………….।
ভরা ……… ………………………………………………………….।
যুদ্ধ ……… ………………………………………………………….।
দূর ……… ………………………………………………………….।
শুকনো ……… ………………………………………………………….।
৭. বাক্য রচনা করি।
জন্মদিন আয়ু অপেক্ষা মুক্তিযোদ্ধা রেডিও
৮. কথাগুলো বুঝে নিই।
ধপাস করে পড়া – হঠাৎ ধপ করে পড়া। ট্রাক থেকে চালের বস্তাটি ধপাস করে পড়ে গেল ।
মুখ থুবড়ে পড়া – উপুড় হয়ে বা হুমড়ি খেয়ে পড়া। ছেলেটা হোঁচট খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে গেল ৷ গপগপিয়ে খাওয়া একসঙ্গে বেশি খাবার মুখে পুরে দ্রুত খাওয়া। সে গপগপিয়ে সব ভাত খেয়ে ফেলল।
দুই সের – আমাদের দেশে আগে ওজন মাপের জন্য ‘সের' ব্যবহার করা হতো।
১ সের পরিমাণ বর্তমান মাপে ১ কেজির কিছু কম ( প্রায় ০.৯৩৫ কেজি) । ১ কেজি = ১.০৭ সের (প্রায়)
১. কর্ম-অনুশীলন।
আমার শ্রেণিশিক্ষক, মা-বাবা, দাদা-দাদি, পাড়া-প্রতিবেশীদের নিকট থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গল্প শুনে তা লিখি ও শ্রেণির সহপাঠীদের পড়ে শোনাই।
লেখক পরিচিতি
সেলিনা হোসেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার। তিনি ১৪ই জুন ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলা একাডেমিতে পরিচালক পদে থাকা অবস্থায় অবসর গ্রহণ করেন। ‘সাগর’, ‘গল্পে বর্ণমালা”, ‘কাকতাড়ুয়া', চাঁদের বুড়ির পান্তা ইলিশ' ইত্যাদি তাঁর লেখা শিশু-কিশোর উপযোগী বই। তিনি সাহিত্যকর্মে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। ২০০৯ সালে 'একুশে পদক' লাভ করেন। ২০১০ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা থেকে তিনি ডি.লিট উপাধি পান। ২০১১ সালে দিল্লির সাহিত্য একাডেমি থেকে প্রেমচাঁদ ফেলোশিপ পান।
আরও দেখুন...